চকরিয়া স্বাস্থ্য ডেস্ক ::
অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারে। সেক্ষেত্রে মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড়, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া এবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা দেখা দেয়।
হঠাৎ করেই প্রেসার কমে যেতে পারে। তাই জরুরি কিছু পদক্ষেপ জেনে রাখা ভালো।
১. হাইপার টেনশনের ওষুধ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিশমিশ। এক-দুই কাপ কিশমিশ সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো পানিতে খেয়ে নিন। তাছাড়া ৫টি কাঠবাদাম ও ১৫ থেকে ২০টি চিনাবাদাম খেতে পারেন।
২. স্ট্রং কফি, হট চকোলেট এবং যেকোনো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেয়ে নিতে পারেন।
৩. ভিটামিন ‘সি’, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে।
পুদিনাপাতা বেটে এতে মধু মিশিয়ে পান করলে কাজে দেবে।
৪. লবনে আছে সোডিয়াম যা রক্তচাপ বাড়ায়। তবে পানিতে বেশি লবন না দেওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয়, এক গ্লাস পানিতে দুই চা-চামচ চিনি ও এক-দুই চা-চামচ লবন মিশিয়ে খেলে। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের চিনি বর্জন করতে হবে।
৫. আদিকাল থেকেই যষ্টিমধিু বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দিয়ে পান করুন। এছাড়া দুধে মধু দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
৬. বিটের রস হাই ও লো প্রেসার- উভয়টির জন্য সমান উপকারী। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।
পাঠকের মতামত: